সিয়াম পালনের সংকল্প !
মর্যাদাবান মাসে আত্তরিকভাবে নিম্নোক্ত কাজগুলো করুন:
১. নিয়মিত কিয়ামুল লাইল বা তারাবিহতে শরিক হোন।
২. পুরো মাসে বেশি বেশি দান-সদকা করুন।
৩. রমযান মাসেই বার্ষিক যাকাত হিসেব করে আদায় করার চেষ্টা করুন।
৪. রমযান মাসে আপনার চাকর-চাকরানী ও কর্মচারীদের কার্যভার যতোটা সম্ভব হালকা করে দিন।
৫. এ মাসে বিভিন্ন উপায়ে বেশি বেশি মানব সেবা করার চেষ্টা করুন।
৬. সব ধরনের ঝগড়া-বিবাদ ও হানাহানি থেকে বিরত থাকুন এবং অন্যদের বিরত রাখার চেষ্টা করুন।
৭. কাউকে গালি দেবেন না। কেউ গালি দিলে কিংবা বিবাদে জড়াতে চাইলেও আপনি দুইবার বলুন- “আমি রোযাদার’ অতপর নিরব থাকুন।
৮. আপনি নিজে মিথ্যা, অসত্য, অন্যায়, প্রতারণা ও ধোকাবাজি পরিহার করুন। অন্যদেরকেও এগুলো থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন।
৯. হিংসা, বিদ্বেষ, অহংকার ও দ্বিমুখী নীতি পরিহার করুন।
১০. ভালো কাজে সহযোগিতা করুন এবং উদ্বুদ্ধ করুন।
১১. সম্ভাব্য সকল উপায়ে মন্দ কাজে বাধা দিন এবং সকল মন্দ কাজকে ঘৃণা করুন।
১২. খাদ্য দ্রব্যের দাম কমাতে সহযোগিতা করুন এবং ভূমিকা পালন করুন।
১২. খাদ্য দ্রব্য ভেজালমুক্ত রাখতে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।
১৩. সামাজিকভাবে সিয়াম, সালাত ও যাকাত সংক্রান্ত আলোচনা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করুন।
১৪. মসজিদগুলোতে ইফতারের সময় বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করুন।
১৫. রমযান মাসেই আপনার সন্তানদের কুরআন পাঠ শিক্ষা দিন। নামায শিক্ষা দিন। উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ করুন।
১৬. যাদের কাছে অর্থসহ/বঙ্গানুবাদ কুরআন নেই, তাদের কাছে বঙ্গানুবাদ কুরআন পৌছান। এটা হবে আপনার সর্বোত্তম সওয়াবের উপহার।
১৭. এ মাসে বিশেষ করে সুস্থ থাকার উপযোগী ইফতার ও খাদ্য গ্রহণ করুন।
১৮. যতো বেশি সম্ভব নফল ইবাদত করুন।
১৯. মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করুন।
২০. রহমত ও মাগফিরাত লাভ এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের জন্যে সদা তৎপর থাকুন।
২১. সম্ভব হলে শেষ দশদিন ই’তেকাফ করুন।
২২. পুরো মাস হৃদয়টাকে মসজিদের সাথে বেধে রাখুন।
২৩. ঈদুল ফিতরের প্রস্ততি নিন।
২৪. সালাতুল ঈদের পূর্বেই ফিতরা আদায় করে দিন।
২৫. ব্যক্তিগতভাবে গরিব-দুঃখীদের ঈদের আনন্দে শরিক করার চেষ্টা করুন।
২৬. ঈদের সালাতে শরিক হোন। এক পথে যান, অন্য পথে ফিরে আসুন।
No comments
Thank you