রমাদান থেকে ফায়দা লাভের উপায়
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্মাম রমযান মাস থেকে ফায়দা লাভের উপায় বলে দিয়েছেন। সেগুলো হলো:
যে ব্যক্তি ঈমান ও আশা নিয়ে রমযান মাসের রোযা রাখবে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে । (বুখারি ও মুসলিম: আবু হুরাইরা রা.)
২. وَمَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.
যে ব্যক্তি ঈমান ও আশা নিয়ে রমযানের রাতে সালাতে দাঁড়াবে তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে । (বুখারি ও মুসলিম: আবু হুরাইরা রা.)
৩. وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ .
যে ব্যক্তি ঈমান ও আশা নিয়ে কদর রাতে সালাতে দাঁড়াবে তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে । (বুখারি ও মুসলিম: আবু হুরাইরা রা.)
৪. اَلصَّوْمُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ
আল্লাহ বলেন: রোযা আমার জন্যে এবং আমিই এর পুরস্কার দেবো । (বুখারি)
৫. لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ : فَرْحَةٌ عِنْدَ إِفْطَارِهِ ، وَ فَرْحَةٌ عِنْدَ لِقَاءِ رَبِّهِ .
রোযাদারের জন্যে দুটি আনন্দের সময়ঃ একটি আনন্দ ইফতারের সময়, আরেকটি তার প্রভুর সাথে সাক্ষাতের সময় । (বুখারি ও মুসলিম: আবু হুরাইরা রা.)
৬. الصِّيَامُ وَالْقُرْآنُ يَشْفَعَانِ لِلْعَبْدِ
রোযা এবং কুরআন বান্দার জন্যে সুপারিশ করবে । (বায়হাকি: ইবনে উমর রা.)
৭. شَهْرُ رَمَضَانُ شَهْرُ مُبَارَك
রমযান মাস একটি বরকতময় মাস। (বায়হাকি)
৮. مَنْ تَقَرَّبَ فِيْهِ بِخَصْلَةٍ مِنَ الْخَيْرِ كَمَنْ أَدَّى فَرِيْضَةً فِيْماَ سِواَه.
যে ব্যক্তি রমযান মাসে একটি ভালো কাজ করে আল্লাহর নিকটবর্তী হতে চাইবে, সে অন্য সময়ের একটি ফরয আদায়কারীর সমতুল্য ৷ (বায়হাকি)
৯. وَ مَنْ أدَّى فِيْهِ فَرِيْضَةً كاَنَ كَمَنْ أَدَّى سَبْعِيْنَ فَرِيْضَةً فِيْماَ سِواَه.
যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরয আদায় করবে, সে অন্য সময়ের সত্তরটি ফরয আদায়কারীর সমতুল্য | (সালমান ফারেসি: বায়হাকি)
১০. هُوَ شَهْرُ الصَّبْرِ وَالصَّبْرُ ثَوَابُهُ الْجَنَّةُ.
এ মাস সবরের মাস, আর সবরের পুরস্কার হলো, জান্নাত । (বায়হাকি)
১১. هُوَ شَهْرُ الْمَوَاسَاةِ .
এ মাস (মুসলিমদের মধ্যে) পারস্পারিক সম্প্রীতির মাস। (বায়হাকি)
১২. هٌوَ شَهْرٌ يُزَادُ فِيْهِ رِزْقُ الْمُؤمِنِ .
এ মাসে মুমিনদের জীবিকা বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। (সালমান ফারেসি: বায়হাকি)
১৩. هُوَ شَهْرُ أوَّلُهُ رَحْمَةٌ وَأوْسَطُهُ مَغْفِرَةٌ وَآخِرُهُ عِتْقٌ مِنَ النَّارِ.
এটি সেই মাস, যার প্রথম ভাগ রহমতের, মধ্যভাগ ক্ষমার এবং শেষ ভাগ জাহান্নাম থেকে মুক্তির । (সালমান ফারেসি: বায়হাকি)
১৪. الصَّومُ جُنَّةٌ .
রোযা একটি ঢাল । (বুখারি ও মুসলিম)
১৫. أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَفْطَرَ قَالَ اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ .
ইফতার করার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন: হে আল্লাহ! তোমার জন্যে রোযা রেখেছি আর তোমার দেয়া জীবিকা দিয়েই ইফতার করছি। (আবু দাউদ: মুরসাল)
১৬. لاَ يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْر.
মানুষ কল্যাণের উপর থাকবে, যতোদিন তারা দ্রুত ইফতার করবে । (বুখারি)
১৭. تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً
তোমরা সাহরি খাও, কারণ সাহরিতে বরকত রয়েছে । (বুখারি ও মুসলিম)
১৮. مَنْ نَسِيَ وَهُوَ صَائِمٌ فَأَكَلَ أَوْ شَرِبَ فَلْيُتِمَّ صَوْمَهُ فَإِنَّمَا أَطْعَمَهُ اللَّهُ وَسَقَاهُ .
যে ব্যক্তি রোযা থাকার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার করে ফেলে, সে যেনো রোযা পূর্ণ করে। কারণ আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন । (বুখারি ও মুসলিম)
১৯. رَأَيْتُ النَّبِيَّ صــ مَالَا أحْصِيَ يَتَسَوَّكُ وَهُوَ صَائِمٌ
আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রোযা রেখে কতোবার যে মেসওয়াক করতে দেখেছি! (তিরমিযি)
২০. مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّوْرِ وَالْعَمَلَ بِهِ وَالْجَهْل فَلَيْسَ لِلَّهِ حَاجَةٌ فِي أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ .
যে ব্যক্তি (রোযা রেখে) মিথ্যা কথা ও কাজ ছাড়তে পারলোনা, তার পানাহার ত্যাগের কোনো প্রয়োজন আল্লাহর নেই। (বুখারি: আবু হুরাইরা রা.)
২১. مَنْ صَامَ رَمَضانَ ثُمَّ أَتَبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ كانَ كصِيَامِ الدَّهْرِ .
যে ব্যক্তি রমযান মাসের রোযা থাকলো, তারপর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা তার অনুগামী করলো, সে যেনো পুরো বছর রোযা থাকলো। (মুসলিম: আবু আইউব রা.)
২২. أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلَاةُ اللَّيْلِ .
রমযানের বাইরে সর্বোত্তম রোযা হলো আল্লাহর প্রিয় মাস মহররম মাসের রোযা, এবং ফরয নামায ছাড়া সর্বোত্তম নামায হলো রাতের নামায । (মুসলিম)
২৩. كَانَ النَّبِيُّ صــ إِذَا دَخَلَ رَمَضَانُ أَعْطى كُلُّ سَائِلٍ
রমযান মাস এলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক সাহায্য প্রার্থীকে দান করতেন । বায়হাকি: ইবনে আব্বাস রা.)
No comments
Thank you